ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

লামায় বিজিবি সদস্য কর্তৃক দুই ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::
বান্দরবানের লামায় বিজিবি’র তিন সদস্য কর্তৃক দুই ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামগতি ত্রিপুরা পাড়ার সংলগ্ন বাশঁ ঝাড়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানায় ভিকটিমরা। অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যরা নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধীনস্থ লামার বনপুর ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্পের সদস্য।
অপরদিকে এই ঘটনাটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র দাবী করে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র বনপুরস্থ ‘ত্রিশডেবা বিজিবি ক্যাম্পটি’ প্রত্যাহার করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এইটা তাদের কোন চক্রান্ত হতে পারে। তারপরেও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে ঘটনাটি তদন্তে বিজিবি’র মেজর জুনায়েদ (এমও) সহ একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভিকটিম ২জন এই প্রতিবেদকে বলেন, বুধবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় পাশের বাড়ির একজন মহিলাকে দিয়ে ত্রিশডেবা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক রবিউল, সৈনিক মারুফ ও সুমন আমাদের ডাকে। আমরা গেলে বিজিবি সদস্যরা ১জনকে ৫শত টাকা দেবে বলে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়। আমরা রাজি না হলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সৈনিক মারুফ ও সুমন আমাদের ধর্ষণ করে। নায়েক রবিউল পাশে রাস্তায় পাহারা দেয়। কিছুক্ষণ পরে পাড়ার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা আমাদের ছেড়ে দেয়, আমরা ভয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে যাই। সারা রাত জঙ্গলে বৃস্টিতে ভিজেছি। ভোর ৫টায় বাড়ি ফিরে যাই।
ভিকটিম দুই জনের বাবা বলেন, খবর পেয়ে আমার পাড়ার লোকজন সহ ঘটনাস্থলে গেলে বিজিবির ৩ জনকে দেখতে পাই, কিন্তু আমাদের মেয়েদের দেখিনি। এই সময় ৩ বিজিবি সদস্যের সাথে আমাদের তর্ক বিতর্ক হয়। তারা আমাদের হুমকি দিয়ে চলে যায়। সারারাত মেয়েদের খুঁজে পাইনি। ভোরে মেয়েরা বাড়ি ফিরে আসে এবং আমাদের ঘটনা খুলে বলে। সকাল ১০টার দিকে ত্রিশডেবা বিজিবি ক্যাম্পের লোকজন আমাদের ডেকে বনপুর বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে শত শত লোকের সামনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়। মেয়ে দুইজনের বক্তব্য নেয় বিজিবি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। আমরা আইনি সহায়তার জন্য লামা থানায় যাব।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, পরিবারের দাবী মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন।
ঘটনাস্থলে আসা নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির মেজর জুনায়েদ (এমও) বলেন, আমাদের কাছে ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে।
এই বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে লামা থানাকে নির্দেশ প্রদান হয়েছে।

বি.দ্র: সম্মানীত পাঠক, বিভিন্ন সিকিউরিটি সংস্থার চাপের মুখে কিছু সময়ের জন্যে নিউজ পোর্টেলে উপরের নিউজ দেখতে পাননি বলে আমরা দু:খিত।
 

পাঠকের মতামত: